বিশ্বসুন্দরীর প্রতিযোগিতার থিম তো সবাই জানে যে শুধুমাত্র তাদের সৌন্দর্যের উপর নির্ভর করে জয়ীর নাম ঘোষণা করা হয় না "বিউটি উইথ পারপাস এন্ড এডভোকেসি"উপর নির্ধারণ করে মতামত জানানো হয়।
বিশ্ব সুন্দর প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে যখন এর বক্তব্য শুরু হয় তেলেঙ্গানা তে অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে সেই সময় সেদিন থেকেই উৎসাহ অনেক বেড়ে গিয়েছিল অনেক জনের কাছে। আর অবশেষে সেই দিন উপস্থিত হয় ১০ এই মে উদ্বোধন করা হয় বিশ্ব সুন্দরী 2025 এর অনুষ্ঠান সেই দিন মঞ্চে ১৩৮ টি দেশের প্রতিযোগিতারা তো ছিলেনেই তার সাথে সাথে গতবারের বিশ্বসুন্দরী ক্রিস্টিয়ানা সিজকোভা ও ছিলেন, এবং মিস ওয়ার্ল্ডের সিইও আর চেয়ার পার্সেন জুলিয়া মরলি আর তেলেঙ্গানার চিফ মিনিস্টার রেবান্ত রেড্ডি সহ অনেক জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব সুন্দরীর এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তেলেঙ্গানার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আকর্ষক করার সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিযোগিতাদের থেকে শুরু করে অতিথিদের সবাইদের অভিবাদন সাংস্কৃতিক রূপে করা হয় এবং তার সাথে সাথে প্রত্যেক প্রতিযোগিদেরকে হায়দরাবাদের অনেক জায়গায় ভ্রমণ করানো হয় যেমন বিশ্বের সবথেকে বড় ফিল্ম সিটি রামোজি তার সাথে আছে সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার, পুলিশ কমান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হোম আর ৭০০ বছর পুরনো বটগাছ এর সাথে সাথে অনেক জায়গাতে তারা ভ্রমণ করেছেন আর হ্যাঁ তারা এমনকি টুরিস্ট পার্ক এউ গিয়েছেন।
হায়দ্রাবাদের গাছি বলিতেঅনুষ্ঠিত এই বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভারতের ঐতিহ্য সংস্কৃতিক এবং নানান ধরনের নতুন নতুন পরিবেশক আরো উন্নতি রূপে প্রকাশিত হচ্ছে যার মাধ্যমে পুরো বিশ্বে তার নামাঙ্কিত হচ্ছে। এর সাথে সাথে অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক লাভ হচ্ছে। তেলেঙ্গানা তে প্রতিযোগিরা আসার পর তাদেরকে ভ্রমন্ত করা নয় তার সাথে খাবার দাবার এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ও তাদেরকে যোগদান করা হয়।
মে মাসের কুড়ি তারিখে ট্যালেন্টস কম্পিটিশনের যোগ্য তাদেরকে ঘোষণা করা হয়। যার মধ্যে ২৪ টি দেশ নামাঙ্কিত হয় আর এর মধ্যে আমাদের ভারতও ছিল । কিন্তু ফাইনাল লিস্টে যাওয়ার জন্য তাদেরকে বাছাই করা হয় ২১ যেখানে তারা চারজন প্রতিযোগীদেরকে ঘোষনা করেন এবং সেই দেশগুলি হচ্ছে রিনিদেদ এন্ড টোব্যাকো, বালেশ,জাম্বিয়া আর তুর্কি। এখন এই চার দেশের প্রতিযোগিরা অবশেষে ৩১ সে মে ফাইনাল মঞ্চে উপস্থিত হবেন। ট্যালেন্ট শো কম্পিটিশনের পর যখন ফাইনাল লিস্টে যাবার জন্য প্রশ্ন করা হয় প্রতিযোগি দেরকে শুধুমাত্র তাদের কাজের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়নি। এমনকি সামাজিক অসুবিধা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যের ব্যাপারে মানসিক অবস্থার ব্যাপারে এবং ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় সেটার উপর নির্ভর করেই তাদেরকে বাছাই করা হয়। যেখানে ফাইনালে পৌঁছানো এই চারজন প্রতিযোগী তারা উত্তরে বলেছিলেন
মিসেস ত্রিনিদাদ ও টোবাগো অ্যানা-লিস ন্যানটন লিঙ্গ সমতার বিষয়ে তেলেঙ্গানার প্রগতিশীল অবস্থানের প্রশংসা করে বলেছেন, "তেলেঙ্গানা বিশ্বকে দেখায় যে নারীরা অবাধে পড়াশোনা করতে, কাজ করতে, পোশাক পরতে এবং বাঁচতে পারে। নারীদের পিছিয়ে না রাখার জন্য ধন্যবাদ।"
মিসেস জাম্বিয়া ফেইথ বালিয়া উদ্বেগ (অ্যাংজাইটি) এবং হতাশার (ডিপ্রেশন) বিরুদ্ধে তার লড়াই সম্পর্কে মুখ খুলেছেন, তার নিরাময়ের যাত্রার জন্য আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, "ঈশ্বর এবং আত্ম-আবিষ্কারের উপর বিশ্বাস আমাকে টেনে এনেছে। আপনার উদ্দেশ্য আবিষ্কার করুন, তারপর তা বিলিয়ে দিন"।
মিসেস ওয়েলস মিলি-মে অ্যাডামস, একজন মেডিকেল ছাত্রী এবং মেন্টর, শিক্ষার বৃহত্তর সুযোগের জন্য, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের মেয়েদের জন্য, আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আপনি একজন ডাক্তার এবং একজন বিউটি কুইন উভয়ই হতে পারেন। আপনি সবকিছু হতে পারেন।"
মিসেস তুরস্ক ইডিল বিলজেন ভাগ করে নিয়েছেন যে কীভাবে স্তন ক্যান্সার নিয়ে তার সচেতনতামূলক কাজটি ব্যক্তিগত শোক থেকে জন্ম নিয়েছে — তার মায়ের স্তন ক্যান্সারের সাথে ১৬ বছরের লড়াই। তার প্রচারাভিযান তুরস্ক এবং ইউক্রেন জুড়ে প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং জনস্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ায়
এবং মিস ওয়ার্ল্ডের সিইও আর চেয়ার পারসেন জুলিয়া মারলেও কিছু বক্তব্য প্রকাশ করেছিলেন যেটা হচ্ছে "এই তরুণীদের দ্বারা প্রদর্শিত প্রতিভা কেবল তাদের স্বকীয়তা এবং নিষ্ঠার প্রমাণ নয়, বরং তাদের উপস্থাপন করা সৃজনশীলতা ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির এক শক্তিশালী স্মারক"।