এটা সত্যজিৎ রায়ের অনেক বড় খ্যাতি অর্জন করা এক উপন্যাস যেটা প্রথম বাস্তবিক রূপে পরিচালিত হয়েছিল ১৯৭০ সালে আর এখন পুনরায় তাকে নতুন রূপে প্রদর্শন করা হচ্ছে ফোর কে এডিশনে। সত্যজিৎ রায় ভারতের সিনেমা জগতের এক অমূল্য রত্ন ছিলেন যিনি ৩২, জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করেছেন সিনেমা জগতে তার সাথে ভারতরত্ন, দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারও পেয়েছেন। তিনি শুধুমাত্র পরিচালক ছিলেন না তার সাথে তিনি এক দুর্দান্ত চিত্র কার থেকে শুরু করে লেখক ছিলেন। তার কাজ এখন বিশ্বসরনীয় তাকে তার কাজের অবদানের জন্য "অস্কার" থেকে ১৯৯২ সালে লাইফটাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। তার পরিচালিত করা "পথের পাঁচালী" কে না জানে আর এখন নতুন রূপে আবার সেই "অরণ্যের দিনরাত্রি"কে প্রস্ফুটিত করে তুলছে ফিল্ম জগত।
"ক্যাননেস"এর সিনেমা অনুষ্ঠানে "অরণ্যের দিনও রাত্রি"কে প্রদর্শন করা হলো নতুন রূপে যেখানে পর্দায় পরিচয় করানো হলো আর সেটা করলেন ওয়েস এন্ডারসন, তিনিও এই ছবিতে মধ্য চরিত্র রূপে অভিনয় করেছেন।ছবিটাকে ক্যাননেস এর ক্লাসিক সেকশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং তার সাথেই তাকে প্রদর্শন করা হলো।
নতুন রূপে এই ছবিকে গড়ে তুলতে সাহায্য করতে সিনেমা জগত অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছেন, এই ছবিকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করেছে বিশ্ব সিনেমা প্রজেক্ট এর এল ইমেজিং রিট্টুভাটা আর সিনেমা ঐতিহ্য ফাউন্ডেশন, তার সাথে যুক্ত হয়েছেন জানুস ফিল্মস আর ক্রিটেরিওন কালেকশন। সিনেমাটাকে ফান্ডিং এ সাহায্য করেছে গোল্ডেন গ্লোব ফাউন্ডেশন তার সাথে শিল্পীদের চরিত্র তো আছেই। অ্যান্ডার্সন ছবিটা কে "ক্যাননেস" এ প্রদর্শন করার আগে কিছু বক্তব্য প্রকাশ করেছেন আর তিনি বললেন সত্যজিৎ রায়ের দ্বারা সৃষ্ট (অথবা গাওয়া/চিহ্নিত) সবকিছুই সযত্নে লালন করা উচিত ছিল," তার সাথে বললেন। "প্রায় ভুলে যাওয়া অরণ্যের দিনরাত্রি একটি বিশেষ রত্ন। মহান রহস্যময়, বুদ্ধিদীপ্ত, সম্মোহিত করার মতো — মাস্টারের কাছ থেকে আরেকটি মাস্টারপিস।"