PSLV র উৎক্ষেপণ
এই উৎক্ষেপণটা আই এস আর ওর পিএসএলভির ক্ষেত্রে তৃতীয়তম উৎক্ষেপণ ছিল আর তিনবারেই এটা অসফলতা অর্জন করে। প্রথমবার উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরের কুড়ি তারিখে যেটার নাম ছিল পিএসএলভিডি। আর দ্বিতীয়বার পিএসএলভি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩১ শে আগস্ট যেটা ছিল নির্দেশ কারী উপগ্রহ আর এই মিশনের নাম ছিল পিএসএলভি সি থার্টি নাইন যেটা বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল IRNSS-H1 উপগ্রহকে , কিন্তু এই মিশন টাও ব্যর্থ হয়ে যায় রিপোর্ট অনুসারে পাওয়া যায় যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অত্যাধিক তাপ বেড়ে গিয়েছিল সেই কারণে এই মিশন টা অসফল হয়। আর এই বছরের PSLV-C6মিশনের ক্ষেত্রেও কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অসফলতা অর্জন করে এই বক্তব্যটা আই এস আর ওর চেয়ারম্যান ভিনারায়ণ ও লাইভ স্ট্রিমে বলেছেন যখন মিশনকে উৎক্ষেপণ করা হচ্ছিল। তিনি বলেছেন তৃতীয় পর্যায়ের কার্যকারিতার সময়, আমরা একটি পর্যবেক্ষণ দেখতে পাচ্ছি এবং মিশনটি সম্পন্ন করা যায়নি। বিশ্লেষণের পর, আমরা ফিরে আসব,"
PSLV-C61 মিশন
বিএসএলভিসি ৬১ মিশন eos আর্থ অবজারভেশন satellite কে বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল sun synchronous polar কক্ষপথের দিকে। এই পিএসএলভি c ৬১ মিশনের দুর্গ ছিল 44.5 মিটার আর ওজন ছিল ৩২১ টনস আর যে উপগ্রহ কে বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল সেই উপগ্রহের ওজন ছিল ১৬৯৬ .২৪ কেজি যেটা অত্যন্ত ভারী ছিল। আর ডিজাইন করা হয়েছিল সি ব্যান্ড সিন্থেটিক অপের টিউর রেডার মাধ্যমে ।ইওএস-০৯ ডি-অরবিটিং জ্বালানী দিয়ে সজ্জিত ছিল, যা দায়িত্বপূর্ণভাবে কর্মজীবনের শেষ নিষ্পত্তিতে সক্ষম করে। পিএসএলভি-সি৬১ মিশনের পরিকল্পনায় কক্ষপথের আবর্জনা কমাতে চতুর্থ পর্যায়ের নিষ্ক্রিয়করণও অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা পরিচ্ছন্ন মহাকাশ অভিযানের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।এই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল উপগ্রহটাকে কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করার পর উপগ্রহের দ্বারা পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণ করা আর যেকোনো আবহাওয়ার ক্ষেত্রেই হোক না কেন স্পষ্ট ভাবে উন্নতর ছবি প্রকাশিত করা যেমন কি কৃষি ক্ষেত্র, মৃত্তিকা, জঙ্গল আর বিপর্যয় প্রতিরোধকের ক্ষেত্রে উন্নতর স্পষ্ট চিত্র গ্রহণ করে কার্যকর সেন্টারে ব্যবহারকারীদেরকে তথ্য প্রদান করা যাতে তারা ভালোভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
ব্যর্থতা
রিপোর্ট অনুসারে আই এস আর ও জানিয়েছে যে এটা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ব্যর্থ হয়েছে যেই উপগ্রহটাকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল সেই উপগ্রহটির ওজন অত্যন্ত ভারী ছিল আর সে ক্ষেত্রে এত ভারী ওজন বহন করতে সক্ষম হয়নি। যার জন্য উৎক্ষেপণে ত্রুটি দেখা দেয় এছাড়াও আরো অনেক ত্রুটি উপলব্ধ করা হয়। আই এস আর ও এটাও জানিয়েছেন যে মিশনটাকে উৎক্ষেপণ করা পর্যন্ত অবধি ঠিকমতো ভাবি পর্যবেক্ষণ করা হয়নি কিছু ত্রুটি ছিল সেটা তারা উৎক্ষেপণ করার সময় বুঝতে পারেন।