ভারতে দেখা গেল "করোনা ভাইরাসে"র ২ নতুন প্রকারভেদ তাও আবার দুই ভিন্ন জায়গায়:-

 

Credit by unsplash 

সোমবার দিন ইউনিয়ন হেলথ  মিনিস্টারের রিপোর্ট অনুসারে ভারতে বর্তমানে ১০০৯ সক্রিয় করোনা ভাইরাসের লক্ষণ  পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৭৫২ টি লক্ষণ তো গত সপ্তাহের যদিও তার মধ্যে ৩০৫ জন রোগীরকে ডিসচার্জ করা হয়েছে এবং পাঁচজনের মৃত্যু হয়ে গেছে। রিপোর্ট অনুসারে সব থেকে বেশি লক্ষণ পাওয়া গেছে কেরালা, মহারাষ্ট্র আর দিল্লিতে আর শহর বলতে গেলে মুম্বাই, পুনে আর থানে শহরে সব থেকে বেশি খুবিট লক্ষণ পাওয়া গেছে। আর এখন রিসেন্টলি, দিল্লির নয়ডাতেও একজন পঞ্চাশ বছর মহিলার কোভিড টেস্টে পজেটিভ ধরা গেল। কিন্তু ভারতের সব রাজ্যে করোনাভাইরাসের আক্রমণ ছড়ায় নি যেমন জম্মু-কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ,আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, বিহার এইসাব রাজ্যে এখনো পর্যন্ত একটাও কোভিড পজেটিভ খবর পাওয়া যায়নি। 

এই১০০৯ রোগীদের মধ্যে কেরালা থেকে ৪৩০ মহারাষ্ট্র থেকে 209 দিল্লি থেকে ১০৪ আর কর্ণাটক থেকে ৪৭ টি লক্ষণ প্রকাশিত  হয়েছে। সবাই এখন আবার আগের মতো আতঙ্কিত হচ্ছে, তো সেই অনুসারে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞেস করা হচ্ছিল যে এটা কি আগের মতন আবার ভয়াবহ হবে কিন্তু সে উত্তরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে এত আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই কারণ প্রায় ব্যক্তি এই বুসটার ডোজ নিয়ে রেখেছেন এবং এটার প্রভাব তেমন পড়বে না আশা করা যাচ্ছে। কিন্তু ডাক্তাররা তার সাথে এটাও বলেছে যে সেফটি থাকা ভালো নিজের থেকে ,আপনারা যখন ভিড়ে যাবেন তখন অবশ্যই যেন মাস্ক ব্যবহার করবেন এবং হ্যাঁ হাই জিন মেনটেন করবেন আর  যারা যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই দ্রুত বুস্টার ডোজ নিয়ে নেওয়ার জন্য বলছেন। যদি এমসের কথা বলা হয় তাহলে ঋষিকেশ এমস এ তিনটা পজেটিভ লক্ষণ দেখা গেছে তার মধ্যে একজনকে ডিসচার্জ করা হয়েছে। 



কিন্তু তার সাথে সাথে আবার নতুন এক ঘটনা নজর কেড়ে নিয়েছে, যেটা হচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন প্রকারভেদ হ্যাঁ করোনা ভাইরাসের নতুন দুই প্রকারভেদ পাওয়া গেছে গুজরাট আর তামিলনাড়ুতে যে গুলির নাম হচ্ছে এন বি.১.৮.১ আর এল এফ .৭। এন বি. ১.৮.১ পাওয়া গেছে গুজরাটে এপ্রিল মাসে আর এল এফ .৭ পাওয়া গেছে মে মাসে তামিলনাড়ুতে, আর এই দুই ধরনের ভাইরাসের ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করেছেন ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন তারা এখনও পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন নতুন প্রকারের যেগুলি বেশিরভাগ এশিয়া মহাদেশে লক্ষ্য করা যাচ্ছে আর এটাও বলা যাচ্ছে যে এই দুই ধরনের ভাইরাসের প্রকারভেদ অতি দ্রুত সম্প্রসারিত হয় আর  এখন মূলত আমাদের কাছে এই নতুন প্রকারভে ভাইরাসের কোন বুস্টার ডোজ  নেই ডক্টরদের মতে আগে যে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ওই বুস্টার ডোজ এই ভাইরাসের উপর কাজ করতে পারে ৫০% থেকে ৮০% পর্যন্ত সম্ভাবনা আছে, এই নতুন প্রকার ভাইরাসকে দমন করতে। কারণ এই দুটো ভাইরাস হল 2019 সালের কোভিড নাইনটিন এর মূল ভাইরাসের ক্ষুদ্র প্রকারভেদ, তাই এর সম্প্রসারণ ও খুব দ্রুত। 

আর এখন অনেক হসপিটালেই  করোনা রোগীদের জন্য আগের থেকেই রুম বেড সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।সংশ্লিষ্ট ন্যাশনাল আইএইচআর ফোকাল পয়েন্টগুলি থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, বর্তমানে প্রচলিত ভ্যারিয়েন্টগুলো আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রামক বা আরও গুরুতর রোগের কারণ, এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সতর্ক রয়েছে এবং তাদের একাধিক সংস্থার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে,” মন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন।

*এখন মূলত অধিকতর পজিটিভ রোগীদেরকে হোম কেয়ার এর  মাধ্যমে চিকিৎসা চলছে।

*কিন্তু এখন অতি অবশ্যই সবাইকে সতর্ক থাকা দরকার কারণ ভাইরাস কখন ছড়িয়ে পড়ে কেউ বুঝতে পারে না তার জন্য অবশ্যই হাইজিন মেনটেন করা দরকার আর মাস্ক, স্যানিটাইজেশন অনিবার্য।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন