এখন ভারতেও খুব শীঘ্রই তৈরি হতে চলেছে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (AMCA-advanced medium combat aircraft)

 


তেজাস লাইট কমবেট এয়ারক্রাফট

গত মঙ্গলবার দিন ভারতের সুরক্ষা মন্ত্রী রাজেন্দ্র সিং স্বীকৃতি দিলেন এএমসিএ (advanced medium combat aircraft)প্রজেক্ট কে। যেটা হচ্ছে অ্যাডভান্স মিডিয়াম কম্বেট এয়ারক্রেট। যেটার ওজন মাঝারি সাইজের হবে আর দ্রুত প্রতিপক্ষর আক্রমণ কে ভেদ করতে পারবে, আবহাওয়া ঠিক না থাকলে ও অতি দ্রুত অতিক্রম করতে পারবে।

 এটা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এখনো আপাতত তৈরি হয়নি কিন্তু খুব শীঘ্রই তৈরি হতে চলেছে আমাদের দেশে কারণ কিছুদিন আগে যে ঘটনা ঘটল সবাইকে আচমকৃত করেছে ,তারপরেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যুদ্ধ বিমানের ক্ষেত্রে কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গত বছর প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে হওয়া "কেবিনেট কমিউনিটি এন সিকিউরিটি" মিটিংয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সবুজ কার্ড দেখিয়েছিলেন এই প্রজেক্ট টাকে করার জন্য আর এখন গতকালকে আমাদের সুরক্ষা মন্ত্রী ও স্বীকৃতি দিলেন। এবং এই পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরীর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত কাজ নয় এমনকি সবাইদের জন্যই প্রস্তাব দেওয়া হল মানে সরকার আর বেসরকারি দুটোকে প্রস্তাব দেওয়া হল কে এই এম সি এ তৈরি করতে পারবে। এএমসি তৈরি করার জন্য গত বছরেই প্রধানমন্ত্রী ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন যার জন্য তিনি বলেছেন যে পাঁচটি প্রোটো টাইপ তৈরি হবে, এখনো পর্যন্ত ভারতে পঞ্চম প্রজন্মের এয়ারক্রাফট হিসেবে শুধুমাত্র এলসিএ "তেজাস লাইট কমব্যাট এয়ারক্রেট"রয়েছে । যেটা পুরোপুরি ভারতে নির্মিত হয়েছে, কিছুদিন আগে ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠিত হওয়া অ্যারো শোতে ও এটাকে শো করানো হয়েছিল আর এটা যথেষ্ট পরিমাণে সফলতা অর্জন করেছে, এলসি এর এই কার্যক্ষমতা দেখেই বিমান পক্ষ থেকে অনেক সাহস অর্জন করেছে এবং তার জন্যই তারা এখন এক পা এগিয়ে এএমসি এর দিকে এগোচ্ছে। মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স বললেন যে -

"প্রতিযোগিতামূলক ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতকে সমান সুযোগ প্রদানের জন্য এই কার্যনির্বাহী মডেলটি গ্রহণ করা হয়েছে। তারা স্বাধীনভাবে, যৌথ উদ্যোগ হিসেবে অথবা কনসোর্টিয়াম হিসাবে বিড করতে পারবে।"

"বিডকারীকে অবশ্যই একটি ভারতীয় কোম্পানি হতে হবে এবং দেশের আইন ও বিধিমালা মেনে চলতে হবে"আর 

"AMCA প্রোটোটাইপের ক্ষমতা ও সক্ষমতা মূল্যায়ন করার জন্য MADএর অনুমোদন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা দেশীয় দক্ষতা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এটি মহাকাশ খাতে আত্মনির্ভরতার দিকে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। ETA (এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট) শীঘ্রই AMCA উন্নয়ন পর্বের জন্য আগ্রহ প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে" ঠিক এরকমই বক্তৃকরতা জানালেন 

বলা যাচ্ছে যে এই "এল সি এ" আর "এ এম সি এ"হবে আগামী প্রজন্মের ভারতীয় বিমান বাহিনীর মেরুদন্ড। তেজাস কে তৈরি করতে সাহায্য করেছে দুটি কোম্পানি যেটা হচ্ছে ব্যাঙ্গালোর বেশ এডিএ এরোনটিকক্যল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি যেটা এলসি এর পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং তৈরি করেছেন হিন্দুস্তান এরোনটিক্যাল লিমিটেড, গত কয়েক দশক থেকেই এয়ারক্রাফট industy তে রাজ করছিল শুধুমাত্র হিন্দুসস্তান এরোনটিক্যল   লিমিটেড কোম্পানি কিন্তু এখন আমাদের সুরক্ষা মন্ত্রী সবাইদেরকে আমন্ত্রিত করেছেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে সক্ষম টাটা ,আদানি গ্রুপ আর এল এন্ড টি এখন দেখা যাক এরা কেউ অংশগ্রহণ করবে নাকি করবে না ,আর করলেও নিজস্ব নাকি সহযোগিতা ভাবে। 

পুরো বিশ্বে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হিসেবে চারটি নাম রয়েছে যেটা হচ্ছে "এফ টুয়েন্টি টু রাপটর" আর "এফ ৩৫ এ লাইটিং" যেটা আমেরিকার অন্তর্গত। আর চায়নার "যে টোয়েন্টি" আর অবশেষে রয়েছে রাশিয়ার "এস ইউ ৫৭"। রাশিয়ার এই পঞ্চম প্রজন্মের এয়ারক্রাফট আর আমেরিকার এই পঞ্চম প্রজন্মের এয়ারক্রাফট কে ব্যাঙ্গালোরের প্রোগ্রামে আনা হয়েছিল সেখানে দুই এয়ারক্রাটেই পারদর্শিকতা দেখিয়েছে। এবং কতটা সক্ষম সেটাও দেখিয়েছে। তার সঙ্গে তেজাস ও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, নিঃসন্দেহে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান থেকে অনেক শক্তিশালী।

এই এ এম সি এ র কার্য্য হিসেবে এ ডি এ কার্যভার গ্রহণ করেছে আর পর্যবেক্ষণ ও করবে।

আর এই দুই যুদ্ধবিমান বাদে IAF-Indian airforce এর উদ্যোগে ১১৪ টি মাল্টি রোল ফাইটার এয়ারক্রাফট এর তৈরী চলেছে। যার জন্য $18 বিলিয়ন ডলারের নিবেশ করা হয়েছে। যেটা ভারতীয় বিমান বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন